এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : অনেকের আক্ষেপ প্রথম চাকরিতেই যদি কয়েকটি জিনিস বুঝতাম তবে ক্যারিয়ারটাই অন্যরকম হতো। আসলে প্রথম বা দ্বিতীয় চাকরিটি যাই হোক না কেন, ধীরে ধীরে অভিজ্ঞ হয়ে ওঠে মানুষ। অনেক ভুলভ্রান্তিও হয়। যার মাসুল গুনতে বেশ সময় চলে যায়। এখানে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন সেই বিষয়গুলোর কথা, প্রথম চাকরিতেই যার প্রয়োগ ঘটানো জরুরি। ১. তুলনা করতে থাকা চাকরির আগেই দক্ষতা নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে নিজের তুলনার অভ্যাস ভালো কিছু বয়ে আনে। অনেকেই মনে করেন, এখুনি এসবের প্রয়োজন নেই। কিন্তু এই ইতিবাচক অভ্যাসের মাধ্যমে দক্ষতাকে আরো শানিয়ে নেয়া যায়। চাকরিতে প্রবেশের পরই নিজের দক্ষতা নিয়ে সহকর্মীদের তুলনা করতে থাকুন।নিজেকে বুঝতে এই বিশ্লেষণ অতি জরুরি বিষয়। ২. মেধাবীদের সংস্পর্শে থাকা হতে পারে আপনার দায়িত্ব অন্যদের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাই বলে এসব মানুষের কাছ থেকে দূরে দূরে থাকবেন না। যে কোনো কাজের সম্ভাবনাময় মানুষের সংস্পর্শে থাকলে নিজেকে দ্রুত এগিয়ে নিতে পারবেন। অন্য কাজের মানুষও আপনার সামর্থ্যে রসদ জোগাতে পারেন। ৩. কাজ বুঝে নেয়া ধরুন, একটি প্রতিষ্ঠানে মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ হিসেবে চাকরি নিয়েছেন। শিক্ষাজীবনে আপনি এর সম্পর্কে নানা শিক্ষা অর্জন করেছেন। কিন্তু পুঁথিগত বিদ্যার সঙ্গে বাস্তবতার বেমিল হওয়াটা বিচিত্র কিছু নয়। যে কোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার মানসিকতা গড়ে তুলুন। চ্যালেঞ্জ গ্রহণে মনটাকে ইতিবাচক করে তুলুন। ৪. নেটওয়ার্ক গড়ে তোলাই প্রাথমিক লক্ষ্য প্রথম চাকরিতে যোগ দিয়েই ধীরে ধীরে নিজের পথ খুঁজে পাবেন। তবে সবার আগে প্রয়োজন নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা। এটা বেশ ঝামেলার একটি কাজ। কিন্তু জীবনে একবার এ কাজটি সুষ্ঠুভাবে করতে পারলে পেছন ফিরে তাকাতে হবে না। ৫. প্রশ্ন করতে ভয় নয় প্রথম চাকরি মানেই শেখার সবে শুরু। তাই একটা-দুইটা প্রশ্ন নয়, কাজ সংশ্লিষ্ট যে কোনো প্রশ্ন ঊর্ধ্বতনদের উদ্দেশে নির্ভয়ে ছুড়ে দিন। দ্রুত উন্নয়নের পেছনে শর্ত হিসেবে কাজ করে জানার আগ্রহ এবং প্রশ্ন উত্থাপন করা। ৬. শিক্ষা ও জ্ঞানের শেয়ার যা শিখেছেন তা নিজের মধ্যে চেপে রাখতে নেই। এগুলো সহকর্মীদের সঙ্গে শেয়ার করুন। আপনি সবে দায়িত্ব নিয়েছেন। এর সম্পর্কে যা যা জানেন, তা অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করলে ভুলত্রুটি বেরিয়ে আসবে। আপনি যা জানেন তা নয়। কী কী জানেন তাই অন্যদের জানান দিন
Monday, November 30, 2015
Home »
» আপনার ক্যারিয়ার গঠনে যে ৬টি কাজ অতীব জরুরি
আপনার ক্যারিয়ার গঠনে যে ৬টি কাজ অতীব জরুরি
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : অনেকের আক্ষেপ প্রথম চাকরিতেই যদি কয়েকটি জিনিস বুঝতাম তবে ক্যারিয়ারটাই অন্যরকম হতো। আসলে প্রথম বা দ্বিতীয় চাকরিটি যাই হোক না কেন, ধীরে ধীরে অভিজ্ঞ হয়ে ওঠে মানুষ। অনেক ভুলভ্রান্তিও হয়। যার মাসুল গুনতে বেশ সময় চলে যায়। এখানে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন সেই বিষয়গুলোর কথা, প্রথম চাকরিতেই যার প্রয়োগ ঘটানো জরুরি। ১. তুলনা করতে থাকা চাকরির আগেই দক্ষতা নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে নিজের তুলনার অভ্যাস ভালো কিছু বয়ে আনে। অনেকেই মনে করেন, এখুনি এসবের প্রয়োজন নেই। কিন্তু এই ইতিবাচক অভ্যাসের মাধ্যমে দক্ষতাকে আরো শানিয়ে নেয়া যায়। চাকরিতে প্রবেশের পরই নিজের দক্ষতা নিয়ে সহকর্মীদের তুলনা করতে থাকুন।নিজেকে বুঝতে এই বিশ্লেষণ অতি জরুরি বিষয়। ২. মেধাবীদের সংস্পর্শে থাকা হতে পারে আপনার দায়িত্ব অন্যদের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাই বলে এসব মানুষের কাছ থেকে দূরে দূরে থাকবেন না। যে কোনো কাজের সম্ভাবনাময় মানুষের সংস্পর্শে থাকলে নিজেকে দ্রুত এগিয়ে নিতে পারবেন। অন্য কাজের মানুষও আপনার সামর্থ্যে রসদ জোগাতে পারেন। ৩. কাজ বুঝে নেয়া ধরুন, একটি প্রতিষ্ঠানে মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ হিসেবে চাকরি নিয়েছেন। শিক্ষাজীবনে আপনি এর সম্পর্কে নানা শিক্ষা অর্জন করেছেন। কিন্তু পুঁথিগত বিদ্যার সঙ্গে বাস্তবতার বেমিল হওয়াটা বিচিত্র কিছু নয়। যে কোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার মানসিকতা গড়ে তুলুন। চ্যালেঞ্জ গ্রহণে মনটাকে ইতিবাচক করে তুলুন। ৪. নেটওয়ার্ক গড়ে তোলাই প্রাথমিক লক্ষ্য প্রথম চাকরিতে যোগ দিয়েই ধীরে ধীরে নিজের পথ খুঁজে পাবেন। তবে সবার আগে প্রয়োজন নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা। এটা বেশ ঝামেলার একটি কাজ। কিন্তু জীবনে একবার এ কাজটি সুষ্ঠুভাবে করতে পারলে পেছন ফিরে তাকাতে হবে না। ৫. প্রশ্ন করতে ভয় নয় প্রথম চাকরি মানেই শেখার সবে শুরু। তাই একটা-দুইটা প্রশ্ন নয়, কাজ সংশ্লিষ্ট যে কোনো প্রশ্ন ঊর্ধ্বতনদের উদ্দেশে নির্ভয়ে ছুড়ে দিন। দ্রুত উন্নয়নের পেছনে শর্ত হিসেবে কাজ করে জানার আগ্রহ এবং প্রশ্ন উত্থাপন করা। ৬. শিক্ষা ও জ্ঞানের শেয়ার যা শিখেছেন তা নিজের মধ্যে চেপে রাখতে নেই। এগুলো সহকর্মীদের সঙ্গে শেয়ার করুন। আপনি সবে দায়িত্ব নিয়েছেন। এর সম্পর্কে যা যা জানেন, তা অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করলে ভুলত্রুটি বেরিয়ে আসবে। আপনি যা জানেন তা নয়। কী কী জানেন তাই অন্যদের জানান দিন