Disqus Shortname

Monday, July 24, 2017

শুভ জন্মদিন সম্পাদক



আজ ২৪শে জুলাই, সিলেটে অন্যতম শীর্ষ স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল “সময়ের সংলাপ24” এর সম্পাদকের ২২ তম জন্মদিন। শুভ জন্মদিন “দিলোয়ার হোসেন”। “সময়ের সংলাপ24” পরিবারের পক্ষ থেকে জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছা।

এইচএসসি পড়ার সময় কর্মক্ষেত্রের অন্য কোন দিকে ধাবিত না হয়ে গড়ে তুলেন সিলেটের অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল “সময়ের সংলাপ24”। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি।

জন্মদিনের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘জন্মদিনটা স্পেশাল হলেও এই দিন নিয়ে স্পেশাল কোন পরিকল্পনা নেই। অন্যান্য দিনের মত আজও অফিসে সময় দিবো। একজন সাংবাদিক হিসেবে মানুষকে সংবাদ জানানো আমাদের দায়িত্ব। তাই আজও মানুষের মাঝে সংবাদ পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বটা থাকবে।’
Share:

Thursday, February 9, 2017

জানেন কী? বিশ্বের সফল ব্যক্তিরা কখন ঘুম থেকে ওঠেন!


স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন, ‘‘ওঠ, জাগো, নিজে জেগে অপরকে জাগাও!’’ আবার বাজার চলতি প্রবাদ, ‘‘যে ঘুমায়, তাঁর ভাগ্যও ঘুমিয়ে থাকে৷’’
অর্থাৎ, জীবনে সফল হতে গেলে ঘুমের সঙ্গে আপস করতেই হবে৷আবার নিজেকে কষ্ট দিয়েও নয়৷ সুস্থ মানুষের জন্য পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা ঘুমই যথেষ্ঠ৷ আর, দিনের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়া ও ঘুম থেকে ওঠাটাও একটি দৈনন্দিন শৃঙ্খলা৷

দিনের শুরুটা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে হলেই, বাকি দিনটাও নিজের আয়ত্তে আনা সম্ভব৷আর, এটাকেই সম্ভব করে দেখিয়েছেন পৃথিবীর একাধিক প্রতিষ্ঠা পাওয়া বহু মুখই৷ এই পৃথিবীর প্রতিটি সফল মানুষই সময়ের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছেন৷ ঘুমের মধ্যে সময় অপচয় না করেই তাঁরা আজ হয়ে উঠেছেন বিশ্ব নেতা৷

একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বিশ্বে প্রতিটি সফল মানুষ অনেক ভোরেই ঘুম থেকে ওঠেন৷ ঘুম থেকে উঠে দিনের পরবর্তী কর্মসূচীগুলি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারেন৷ফলে, দিনের শুরুটাই হয় পরিকল্পিত৷



মার্কিন সমীক্ষায় উঠে এসেছে বিশ্বের একাধিক সফল ব্যক্তির নাম৷ যাঁদের মধ্যে প্রায় প্রত্যেকেই অনেক আগেই ঘুম থেকে ওঠেন৷ এদের মধ্যে অনেকেই সূর্য ওঠার আগেই ঘুম থেকে উঠে সারা দিনের প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেন৷ প্রায় ৯০ শতাংশ সফল ব্যক্তিই সকাল ছ’টার মধ্যে ঘুম থেকে উঠে হাল্কা ব্রেকফাস্ট করে নেন৷ পরে, দেখে নেন তাঁদের দিনের পরবর্তী কর্মসূচী কি কি আছে৷ আর প্রতিটি কাজই করেন ঘড়ির কাঁটা ধরে৷

দেখে নেওয়া যাক, কারা কখন ঘুম থেকে ওঠেন…


নরেন্দ্র মোদী, প্রধানমন্ত্রী: সকালে ঘুম থেকে ওঠেন পাঁচটায়৷করেন প্রাণায়াম, সূর্য বন্দনা, যোগা৷

বারাক ওবামা, মার্কিন রাষ্ট্রপতি: নিয়ম করে সাড়ে ছ’টায় ঘুম থেকে ওঠেন৷করেন জিম৷সপরিবারে সারেন ব্রেকফাস্ট৷

ডেভিড ক্যামরুন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী: সকাল ছ’টায় তাঁর ওঠা চাই চাই৷ সকাল আটটা পর্যন্ত দিনের সমস্ত সরকারি কর্মসূচী খতিয়ে দেখেন৷ করেন সপরিবারে ব্রেকফাস্ট৷

টিম কুক, অ্যাপেল কর্তা : নিয়ম মেনে ঘুম থেকে ওঠেন সাড়ে চারটে নাগাদ৷ পাঁচটা পর্যন্ত জিম করেন৷সাড়ে পাঁচটায় ব্রেকফাস্ট৷ এরপর গোটার দিনের প্রস্তুতি নিয়ে নিজের দফতরে হাজির হন তিনি৷

জিফ বিজস, অ্যামাজন কর্তা: গ্রাহক পরিষেবা দেওয়াই তাঁর ধ্যানজ্ঞান৷ ঘুম থেকে ওঠেন অনেক সকালে৷ ঘুম থেকে উঠে একটু ব্রেকফাস্ট মুখে দিয়েই পৌঁছে যান নিজের দফতরে৷

বিল গেটস, মাইক্রোসফট: সকাল পাঁচটায় উঠে টানা এক ঘণ্টা শরীরচর্চা করেন৷

মার্ক জুকারবার্গ, ফেসবুক কর্তা: ওঠেন ভোর ছ’টায়৷ সকালেই পৌঁছে যান নিজের অফিসে৷

জ্যাক ডরসি, টুইটার: রোজ সকালে নিয়ম করে ঘুম থেকে ওঠেন সাড়ে পাঁচটায়৷ ধ্যান ও পরে পাঁচ মাইল হাঁটেন৷

রতন টাটা, টাটা সন্স: ঘুম থেকে ওঠেন ভোর ৪টায়৷ সকাল ৬টা থেকে দফতরের বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে বৈঠকে বসেন৷ আর সপ্তাহ শেষে লং ড্রাইভে যান৷

মুকেশ আম্বানি, রিলায়েন্স: রোজ সকালে পাঁচটা থেকে সাড়ে পাঁচটার মধ্যে উঠে পড়েন৷ এক ঘণ্টা জিম করেন৷ নিয়ম করে পড়েন সংবাদাপত্র৷

বিরাট কোহলিও নিজে রোজ ছ’টায় উঠেন৷তখন থেকেই নেমে যান প্র্যাকটিসে৷

তাহলে, আর কী ভাবছেন? আগামী কাল থেকেই শুরু করেদিন৷ বদলে ফেলুন রোজনামচার জীবন!
Share:

Thursday, October 27, 2016

“একটি স্বাধীনতার গল্প”



মধ্য রাত হাটতে হাটতে বাড়ি ফিরছি। এলাকার শীহদ মিনারেন পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কাউকে গুণ গুণিয়ে কাদতে শুনলাম। থমকে দাড়ালাম, চারদিকে তাকিয়ে গুটি গুটি অন্ধকারে কাউকে দেখতে পেলাম না।
হাতের ফ্লাশ টা অন করলাম, একটা মানুষ দেখলাম শহীদ মিনারের এক কোনে বসে বসে কাদছে।
রাজ্যের বিষ্ময় নিয়ে এগুলাম মানুষটার দিকে,
কাছে যেতেই মনে হল আগে কখোন একে এই এলাকায় দেখেনি। তাই জিজ্ঞেস করলাম কে আপনি ভাই? এত রাতে এখানে কাদছেন কেন? মানুষটা চোখঁ তুলে তাকাল।

বিশ্বাস করুন ওই চোখ আমি আগে কখোন দেখেনি, ওই চোখে ছিল ঘৃণ্যা, ওই চোখে ছিল অভিশাপ, ওই চোখে ছিল কান্না, ওই চোখে ছিল বেদনার নীল ছায়া। অদ্ভুত কন্ঠে মানুষটা বলল! আমি স্বাধীনতা। আকাশ সমান বিষ্ময় নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম স্বাধীনতা! কোন স্বাধীনতা?
লোকটা বলল, আজ থেকে ৪৫ বছর আগে যেই স্বাধীনতার জন্ম হয়েছিল সেই স্বাধীনতা। ৩০ লক্ষ তাজা প্রণের বানিময় যেই স্বাধীনতা অর্জন হয়ে ছিল সেই স্বাধীনতা। ২লক্ষ নারীর সম্ভ্রম কোরবানি দিয়ে যাকে তোমরা পেয়ে ছিলে সেই স্বাধীনতা। রেসকোর্সের ১৮মিনিট রক্ত হিম করা ভাষণের পরে যেই স্বাধীনতা পেয়ে ছিলে সেই স্বাধীনতা। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র যেই স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়া হয়ে ছিল সেই স্বাধীনতা।
অপরাধীর মত প্রশ্ন করলাম" কাদছ কেন তুমি? স্বাধীনতা বিষ্ময় নিয়ে আমার দিকে তাকাল!
বলল" কাদছি কেন আমি! আচ্ছা বলতে পর আজ থেকে ৪৫ বছর আগে আমাকে এদেশে আনা হয়েছিল কেন?
তনু নামের মেয়ে গুলোকে হত্যা করে ভাল্লুকে খাওয়ার গল্প বানানোর জন্য?
নাকি প্রকাশে বদরুলরা খাদিজাদের ইচ্ছে মত তাদের চাপাতির শিকার বানানোর জন্য?
আচ্ছা বিশ্ব জিৎ দের কি চাপাতির তলে প্রণা দেয়ার জন্যই আমাকে আনা হয়েছিল?
নাকি দরজির হাতে রুশাদের মত মেয়ে গুলোর প্রাণ দেয়ার জন্য?
আচ্ছা মায়ের সামনে ৮জন মিলে মেয়ে ধর্ষণ করার জন্যই কি আমাকে আনা হয়েছিল?
নাকি এক অসহায় ভাইয়ের সামনে তার বোনের সম্ভ্রম কেড়ে নেয়ার জন্য আমায় জন্ম দিয়েছিল?
নাকি কাটা তারে আটকে থাকা ফেলানিদের লাশের জন্য আমাকে আনা হয়েছিল।
চলতি বাসে পেট্রোলের আগুনে অসহায় মানুষের হৃদপিন্ড দগ্ধ করার জন্যই কি আমাকে আনা হয়েছিল?

চরম অপরাধ বোধ নিয়ে শুনছিলাম স্বাধীনতার কথা, হঠাৎ দূরে কয়েকজন মানুষকে দেখলাম এদিকে আসছে।
ফ্লাশের আলোয় তাদের হাতে চকচক করছে বড় বড় চাপতি আর ইস্পাতের মত ধারালো ছুরি।
হৃদপিন্ডেটা এক লাফে গলার কাছে চলে আসল, বুঝতে পারছিনা এরা কি শুধু চিন্তাই কারির দল নাকি কোন নেতার পেলে পুষে বড়া করা সন্ত্রাসীর দল। প্রাণের মায়ায় ছুট লাগালাম বাড়ির দিকে, পিছনে স্বাধীনতা হাসছে আকাশ কাপিঁয়ে হাসে। বুঝতে পারিনি হাসিটা কিসের ছিল! ঘৃণ্যার নাকি অভিশাপের? (সংগ্রহিত)
Share:

Sunday, August 21, 2016

যেসব খাবার রাতে ভুল করেও খাবেন না


রাতের খাবার খাওয়ার সাথে সাথেই বিছানায় যাওয়া ঠিক নয়। বিজ্ঞানী ও স্বাস্থ্য গবেষকদের মতে, রাতে কিছু তুচ্ছ খাবার রয়েছে যা খেয়ে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। তাই, স্বাস্থ্যের জন্য আত্মঘাতী খাবারগুলো সম্পর্কে আজ জানানো হল-

১. পনির:
পনির শরীরকে মোটা করার জন্য যথেষ্ট। তাই, পনিরকে খুব সংযতভাবে খাওয়া উচিৎ। অনেকেই পনির পেলে খেতেই থাকেন। কিন্তু, পনির হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়াও শরীরে উচ্চমাত্রায় চর্বি ও কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে।

২. মসলাযুক্ত খাবার:
অতিরিক্ত মসলাদ্বার খাবারের জন্য আপনার জ্ঞান লোপ পেতে পারে। এছাড়াও ঝালযুক্ত খাবারের ফলে বুকে জ্বালা করে এবং মাঝে মাঝে পেটে ব্যথারও উপক্রম হয়। রাতে শোবার আগে অবশ্যই কেউ পেটে ব্যথায় ভুগতে চাইবে না।

৩. ফ্যাটযুক্ত খাবার:
পিজা, বার্গার, আলুর চিপস ইত্যাদি খেতে অনেক মজাদার হলেও এগুলো আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। বিশেষ করে রাতে এগুলা না খাওয়াই ভালো। এসব খাদ্যের ফলে আপনার পরিপাকক্রিয়াতে সমস্যা হবার সাথে সাথে আপনার ওজন ও বৃদ্ধি পাবে। পরের দিন সকালে আপনার অবশ্যই অনেক খারাপ লাগবে এবং সারাদিনের কাজ সম্পাদনের জন্য জরুরী শক্তি আপনার মধ্যে থাকবেনা।

৪. মাংস:
মাংস খুব তাড়াতাড়ি হজম হয় না। এর জন্যই রাতে মাংস খাওয়া একদমই ঠিক নয়। মাংস খাবার পর পরই যদি আপনি ঘুমাতে চলে যান, তাহলে আপনার ঘুম আসতে দেরি হবে।

৫. মিষ্টিজাতীয় খাবার:
আইসক্রিম, চকলেট, ক্যান্ডি বার ইত্যাদি খাওয়ার পর খেলে তা আপনার খাদ্য হজমে সাহায্য করবে। কিন্তু এতেও রয়েছে ফ্যাট। তাই, ঘুমানোর আগে অবশ্যই ফ্যাটযুক্ত কোন খাবার খাবেন না।

ঘুমাতে যাবার অন্তত ২০ মিনিট আগে সকল প্রকার খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে। খাবার পর অন্তত ১৫ মিনিট হাঁটুন। বিছানায় যাবার আগে খাওয়ার অভ্যাস পরিত্যাগ করুন।
Share:

Thursday, August 18, 2016

৪৫ কিলোমিটার দৌড়ে অফিস করেন আবদুর রাজ্জাক!

রি-পোষ্টঃ জোরকদমে হেঁটে অথবা দৌড়ে অফিসে যান আবদুর রাজ্জাক। রেলগাড়ি আর বৃদ্ধাকে নিয়ে রাজশাহী অঞ্চলে একটি প্রচলিত কৌতুক আছে। কৌতুকটি হচ্ছে বৃদ্ধা মহিলা বলছেন, ‘আমার তাড়া আছে। আমি হাঁটলাম। তোমরা ট্রেনে এসো।’ তবে আবদুর রাজ্জাকের জন্য বিষয়টি মোটেই কৌতুক নয়। বাস্তব। বাসে গেলে সময় লাগে প্রায় দুই ঘণ্টা। আবদুর রাজ্জাক হেঁটে গেলে সময় নেন প্রায় আড়াই ঘণ্টা। আবদুর রাজ্জাক হাঁটেন ‘জোর কদমে’। অর্থাৎ তাঁর হাঁটাকে হাঁটা না বলে ‘দৌড়-ই’ বলতে হয়। তাই বলে একটানা ৪৫ কিলোমিটার! হ্যাঁ, টানা ৪৫ কিলোমিটার পথ দৌড়ে অফিসে যান তিনি। আবার দৌড়েই বাড়ি ফেরেন। অবশ্য ফেরার সময় আরও আধা ঘণ্টা সময় বেশি নেন।

এই দৌড়বিদের বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার বখতিয়ারপুর গ্রামে।

তিনি এখন কীর্তিপুর তহশিল অফিসের অফিস সহকারী পদে কর্মরত আছেন। তাঁর বয়স ৪০।

আবদুর রাজ্জাক একসময় ছিলেন ম্যারাথন দৌড়বিদ। বখতিয়ারপুর গ্রামের জহির উদ্দিন সরদারের ছয় ছেলেমেয়ের মধ্যে আবদুর রাজ্জাক সবার ছোট। পড়াশোনা করেছেন অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। গত ২১ জুলাই সকালে রাজ্জাকের বাড়িতে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। কীভাবে এই কঠিন কাজ সম্ভব করছেন, জানতে চাইলে রাজ্জাক বলেন, ‘নাটোরে বড় ভাইয়ের বাসায় থাকতাম। টুকটাক টিউশনি করি। ১৯৯৩ সালের কথা। নাটোরের সিংড়া ব্রিজ থেকে রেলস্টেশন পর্যন্ত ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা হবে শুনেই অংশ নিলাম। প্রথম হলাম। একইভাবে পরপর ছয়বার প্রথম হলাম।’

আবদুর রাজ্জাক জানান, প্রথমবার তাঁর প্রতিভা দেখেই আনসার বাহিনীর পক্ষে ঢাকায় আনসার একাডেমিতে ৪২ কিলোমিটার ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতায় তাঁর ডাক পড়ে। সেখানে তৃতীয় হন তিনি। এ ছাড়া রাজশাহীতে ‘অলিম্পিক ডে রান’ প্রতিযোগিতায় পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হন। একই সময়ে ঢাকায় জাতীয় অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতায় ৪২ কিলোমিটার দৌড়ে চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম স্থান অধিকার করেন।

সর্বশেষ ২০০৭ সালে কক্সবাজারে ‘বাংলা ম্যারাথন’ দৌড়ে অংশ নেন তিনি।

আবদুর রাজ্জাকের ভাষায়, ‘এই দৌড়ের সূত্র ধরেই আমার চাকরিতে যোগদান। ২০০৮ সালের কথা। নওগাঁয় বাড়িতেই থাকি আর নিয়মিত প্র্যাকটিস করি। প্র্যাকটিস দেখে সেনাবাহিনীর দুই কর্মকর্তা ডেকে আমার সম্পর্কে জানতে চান। তাঁরা আমার সনদগুলো দেখে ভীষণ খুশি হন। তখন নওগাঁয় জেলা প্রশাসক ছিলেন শেফাউল করিম। তাঁরা আমাকে বলেন, “আবদুর রাজ্জাক আমাদের সম্পদ। তাঁকে কাজে লাগাতে হবে।” তাঁরা আমার জন্য একটা চাকরির সুপারিশ করেন। এরপর চাকরির সার্কুলার হলে তহসিল অফিসে অফিস সহকারী পদে আবেদন করি। চাকরি হয়ে যায়। নওগাঁর ধামুইরহাট উপজেলার আড়ানগর ইসবপুর তহসিল অফিসে যোগদান করি।’

আবদুর রাজ্জাক জানান, চাকরিতে ঢোকার পরে তাঁর প্র্যাকটিসের আর সময় হাতে থাকে না। বাড়ি থেকে অফিসের দূরত্ব ৪৫ কিলোমিটার। বাস বিভিন্ন স্টপেজে থামতে থামতে যায়। সময় লাগে প্রায় দুই ঘণ্টা। তিনি সিদ্ধান্ত নেন—দৌড়েই অফিসে যাবেন। এতে একই সঙ্গে তাঁর অনুশীলন হয়ে যাবে। যা বলা, তাই কাজ। তিনি আড়াই ঘণ্টায় অফিসে যান। তিন ঘণ্টায় ফিরে আসেন। দুই বছর পরে তাঁকে একই উপজেলার ভরতিডাঙ্গা তহসিল অফিসে বদলি করা হয়। বাড়ি থেকে দূরত্ব ছিল ৪৭ কিলোমিটার। সেখানে তিন মাস একইভাবে দৌড়ে গিয়ে চাকরি করেছেন। এরপর তাঁকে নওগাঁর সদর উপজেলার কীর্তিপুর অফিসে বদলি করা হয়। বাড়ি থেকে দূরত্ব মাত্র পাঁচ কিলোমিটার। দূরত্ব কমলেও আবদুর রাজ্জাকের দৌড় থামেনি। তিনি উল্টো পথে ৪০ কিলোমিটার ঘুরে একইভাবে অফিস করেন।

আবদুর রাজ্জাক গত বছর তিনি একটি দুর্ঘটনার শিকার হন। একটি ট্রাকের পাশ দিয়ে দৌড়ে যাওয়ার সময় পাথরকুচি এসে পড়ে তাঁর চোখে। চিকিৎসা করছেন। কিন্তু তেমন উন্নতি হয়নি। এখনো চোখে ঝাপসা দেখেন। এ জন্য অনুশীলন করতে পারছেন না। আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘চোখ ঠিক হলেই আমি আবার ৪০ কিলোমিটার দৌড়েই অফিস যাওয়া-আসা শুরু করব।’

শুনে অবাক হতে হলো, এ রকম দৌড়বিদের খাদ্যতালিকায় খুব একটা বিশেষ কিছু নেই। সকালে ৫০ গ্রাম কাঁচা ছোলা খেয়ে বের হন। অফিসে পৌঁছানোর পর ১০০ গ্রাম কাঁচা বাদাম খান। এ ছাড়া দৈনিক দুটি ডিম আর কলা। আর বাকি সবই দৈনন্দিন স্বাভাবিক খাবার।

আবদুর রাজ্জাকের দুই মেয়ে ও এক ছেলে। বড় মেয়ের বয়স ১০ বছর। ছেলেটা ছোট, বয়স দেড় বছর।

আবদুর রাজ্জাকের দৌড় সম্পর্কে বলতে গিয়ে রাজশাহী বিভাগীয় তহসিলদার সমিতির মহাসচিব মোদুদুর রহমান বলেন, ‘এলাকায় আবদুর রাজ্জাক “ম্যারাথন রাজ্জাক” হিসেবেই পরিচিত। তিনি ভীষণ পরোপকারী ও ভালো মনের মানুষ। কেউ কোনো জিনিস আনতে বললে রাত-দিন দেখা নেই তিনি দৌড়ে গিয়ে তা এনে দেন।’

খুব দ্রুত কোথাও যেতে না হলে আবদুর রাজ্জাক অবশ্য স্বাভাবিকভাবেই হেঁটে যান।
Share:

Tuesday, August 9, 2016

রবিতে আকর্ষণীয় চাকরি

চাকরি চাই ডেস্ক:আকর্ষণীয় চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রবি। লিংকডইন ডটকমে প্রকাশিত এক বিজ্ঞাপন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির এন্টারপ্রাইজ বিজনেস বিভাগে ‘কি অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার’ নিয়োগ দেওয়া হবে। নিয়োগপ্রাপ্তদের কর্মস্থল হবে চট্টগ্রাম জেলায়। দেখে নিন আবেদনের জন্য বিস্তারিত :


যোগ্যতা
স্বনামধন্য দেশি বা বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন পদটিতে। প্রার্থীদের বিটুবি বা বিটুসি কর্মক্ষেত্রে এক থেকে দুই বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে প্রাধান্য দেওয়া হবে। তবে এ ধরনের অভিজ্ঞতা না থাকলেও আবেদন করতে পারবেন প্রার্থীরা। এ ছাড়া আবেদনকারীদের কম্পিউটারে দক্ষ হতে হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া
পদটির জন্য নিজেকে যোগ্য মনে করলেই প্রার্থীরা সরাসরি লিংকডইন ডটকমের (bit.ly/2aYeqLU) মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
Share:

Tuesday, August 2, 2016

সবুর স্যার স্মরণে শনিবার মিলাদ মাহফিল


নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ সুরমার জাফরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক আব্দুস সবুর স্যার’র মৃত্যুতে এক মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।  প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আয়োজিত এ মাহফিল আগামী ৬ আগস্ট ২০১৬, শনিবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হবে।

উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের উপস্থিতি কামনা করা হয়েছে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে। এছাড়া যারা মাহফিলে আর্থিক সহায়তায় শরীক হতে চান, তারা এই নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছেঃ

০১৬২৪০৬১০৫৮ (দিলোয়ার),

 ০১৭৪৯৩১৩৭১৩ (শাকির),

০১৭৯০২৯৭০৬৪ (সামাদ),

০১৭২৯৯২২৮৮৪ (কামরান),

০১৭৪৭১০৩৫০৪ (সামাদ)।

Share:

পুরাতন সংবাদ

Definition List

Unordered List

Support